Breaking

Jul 1, 2021

বিভিন্ন প্রকার পৌরবসতির পরিচয় দাও ?

  বিভিন্ন প্রকার পৌর বসতির পরিচয় দাও ?

বিভিন্ন প্রকার পৌরবসতি
বিভিন্ন প্রকার পৌরবসতি


   পৌরবসতির অবস্থান, বিবর্তন, জনসংখ্যার পরিমাণ এবং সামাজিক বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে বিশ্বের পৌর বসতিগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয় । যথা –

 (১) শহর (Town) : পৌরসভা, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা নোটিফায়েড অথরিটির প্রশাসনিক কর্তৃত্বে থাকা সাধারণ পেীরবসতিকে শহর বলে । শহরে বাজার, চিকিৎসা ব্যবস্থা, কলেজ, রেলস্টেশন প্রভৃতি গড়ে ওঠে । শহরের লােকসংখ্যা ১ লক্ষের কম হয়।

 (২) নগর (City) : পৌরসভা, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা নােটিফায়েড অথরিটির প্রশাসনিক কর্তৃত্বে থাকা শহরের পেীর-বসতিকে নগর বলে । নগরের লােকসংখ্যা ১ লক্ষের বেশি, কিন্তু ১০ লক্ষের কম হয় । 

(৩) মহানগর (Metropolis) : ১০ লক্ষ বা তার বেশি জনসংখ্যাযুক্ত পৌরবসতিকে মহানগর বা মেট্রোপলিস বলে । মহানগরে নানা ধরনের জীবিকা, ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র , উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক চিকিৎসার সুযােগ এবং বিভিন্ন প্রকার নাগরিক পরিষেবার সুবন্দোবস্ত থাকে । কাল ও তার পার্শ্ববর্তী শহরগুলিকে নিয়ে কলকায় মহানগর গঠিত হয়েছে ।

(৪) পৌরপিণ্ড (Urban Agglomeration) : প্রধান নগরের চারপাশের অসংখ্য ছােটো ছােটো নগর একত্রিত হয়ে যখন বৃহত্তর নগর গঠন করে, তখন সেই নগরকে পৌরপিণ্ড বলে। যেমন – বৃহত্তর কলকাতা, বৃহত্তর মুম্বই প্রভৃতি।

(৫) মেগাসিটি (Megacity) : যেসব নগরের জনসংখ্যা ৫০ লক্ষের বেশি সেগুলিকে মেগাসিটি বলে। টোকিও, সাংহাই প্রভৃতি এই শ্রেণির নগর।

(৬) ইয়ােপলিস (Eopolis) : কৃষিভিত্তিক নানাপ্রকার কাজকর্ম বা খনিভিত্তিক কাজকর্মকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ছােটো আকারের শহরকে বলে ইয়ােপলিস।

(৭) পলিস (Polis) : খুচরাে বাজারকেন্দ্রিক পৌরবসতিকে বলে পলিস। এগুলির জনসংখ্যা ও আয়তন ইয়ােপলিস অপেক্ষায় বড়াে হয়।

(৮) মেগাপলিস (Megapolis) : অনেকগুলি শহর ও নগর মিলিতভাবে যে বড়াে আকারের নগরের গঠন করে, সেগুলিকে মেগাপলিস বা পৌরমহাপুঞ্জ বলে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বভাগে নিউ ইয়র্ক, বােস্টন, ফিলাডেলফিয়া ও মরিসভিল মহানগর এবং আরও কয়েকটি শহর মিলিতভাবে মেগাপলিস সৃষ্টি করেছে।

(9) টির‌্যানােপলিস (Tyranopolis) : নগর উন্নয়নের শেষ পর্যায়ে গঠিত হয় টির‌্যানােপলিস। কোনাে দেশের প্রতিটি বসতি যখন পৌরবসতিতে পরিণত হয়, তখন যে অতিকায় পৌরবসতি গড়ে ওঠে সেই পৌরবসতিকে টির‌্যানােপলিস বলে।

(১০) এক্যুমনােপলিস (Ecumonopolis) : পৃথিবী জুড়ে প্রতিটি বসতি যখন পৌরবসতিতে পরিণত হবে, ভূগােলবিদগণ সেই চরমতম নগরায়ণকে বলেছেন এক্যুমনােপলিস। যদিও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে এই চরম নগরায়ণ কাম্য নয়।

(১১) নেক্রোপলিস (Nekropolis) : চরম নগরায়ণের ফলে যখন বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে নাগরিক পরিষেবা বিপর্যস্ত হবে তখন সমগ্র দেশে দুর্ভিক্ষ, মহামারি, গৃহযুদ্ধ প্রভৃতির প্রভাবে যে মৃতপ্রায় পৌরবসতির উদ্ভব হবে, সেই পৌরবসতিকে নেক্রোপলিস বলে।

প্রশ্ন. ভারতীয় জনগণনা অনুযায়ী পৌরবসতির শ্রেণিবিভাগ করাে।
উত্তর: ভারতীয় জনগণনা অনুযায়ী এদেশের পৌরবসতিকে ছয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। যথা -
(i) প্রথম শ্রেণির শহর বা নগর - লােকসংখ্যার পরিমাণ ১ লক্ষ বা তার বেশি।
(ii) দ্বিতীয় শ্রেণির শহর - লােকসংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ৯৯,৯৯৯ জন।
(iii) তৃতীয় শ্রেণির শহর - লােকসংখ্যা ২০ হাজার থেকে ৪৯,৯৯৯ জন।
(iv) চতুর্থ শ্রেণির শহর - লােকসংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১৯,৯৯৯ জন।
(v) পঞ্চম শ্রেণির শহর - লােকসংখ্যা ৫ হাজার থেকে ৯,৯৯৯ জন।
(vi) ষষ্ঠ শ্রেণির শহর - লােকসংখ্যা সর্বাধিক ৫ হাজার জনের কম।

No comments:

Post a Comment

Don't Leave any spam link.