Breaking

Jun 26, 2022

নিউটনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গতিসূত্র

নিউটনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গতিসূত্র
নিউটনের গতিসূত্র
নিউটনের গতিসূত্র


  নিউটনের গতিসূত্র [ Newton's law of Motion ] 

       এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে গতিশীল বস্তুগুলির আচার-আচরণ এবং তাদের গতি কি নিয়মে চলে এ সম্পর্কে বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন তিনটি মৌলিকসূত্র আবিষ্কার করেন । তাঁর 'প্রিন্সিপিয়া' (Principia Mathematica Philosophiae Naturalis) নামক গ্রন্থে উল্লিখিত এই সূত্রগুলিই নিউটনের গতি সম্পর্কীয় সূত্র নামে পরিচিত ।

  প্রথম গতিসূত্র : বাইরে থেকে প্রযুক্ত বল দ্বারা অবস্থার পরিবর্তনে বাধ্য না হলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির অবস্থাতেই থাকবে ও সচল বস্তু সমগতিতে সরলরেখা ধরে চিরকাল চলতে থাকবে।

 নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে জাড্য ও বলের সংজ্ঞা পাওয়া যায়।

  • জাড্য : যে ধর্মের জন্য কোনাে জড় পদার্থ স্থিতি বা গতির যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করে , সেই ধর্মকে পদার্থের জাড্য বলে। ভর যত বেশি হবে পদার্থের জাড্যও তত বেশি হয় । সেক্ষেত্রে বলপ্রয়ােগ বেশি করতে হয় বস্তুর অবস্থা পরিবর্তনের জন্য । 
  • জাড্য দু'প্রকার : স্থিতি জাড্য ও গতি জাড্য। স্থির বস্তুর চিরকাল স্থির থাকার প্রবণতাকে বলে স্থিতি জাড্য । গতিশীল বস্তুর চিরকাল গতিতে সরলরেখা বরাবর চলার প্রবণতাকে বলে গতি জাড্য । গতি জাড্যের জন্য চলন্ত বাসের যাত্রীরা হঠাৎ বাস থামলে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে, আর স্থির বাস চলতে শুরু করলে যাত্রীরা তার স্থির অবস্থা বজায় রাখতে পিছনে হেলে পড়ে । 

বল: বাইরে থেকে যা প্রয়ােগ করে কোনাে অচল বস্তকে সচল অবস্থায় আনা হয় বা আনার চেষ্টা চেষ্টা করা হয় , কিংবা সচল বস্তুর গতির মান বা দিক পরিবর্তন করা হয় বা করার চেষ্টা করা হয় তাকে বলে বল । বলের মান ও অভিমুখ দুই'ই আছে , তাই বল ভেক্টর রাশি ।


    ✱ দ্বিতীয় গতিসূত্র : কোনাে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুটির উপর প্রযুক্ত রামের সমানুপাতিক হয় । প্রমুক্ত বল যে দিকে ক্রিয়া করে , ভরবেগের পরিবর্তন সেই দিকেই হয় ।

ভরবেগ = ভর × বেগ

  P = m × v

ভরবেগ একটি ভেক্টর রাশি ।

    তৃতীয় গতিসূত্র : প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে । 


  •  ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সমান বলে পৃথিবী আপেলকে যে বলে আকর্ষণ করে আপেলও সমপরিমাণ গলে পৃথিবীকে আকর্ষণ করে । কিন্তু যেহেতু পৃথিবীর ভর আপেলটির ভরের তুলনায় বহুগুণ বেশি , তাই পৃথিবীর ত্বরণ আপেলের তুলনায় এইটাই ক্ষুদ্র যে তা ইন্দ্রিগ্রাহ্য হয় না । আপেলের ত্বরণ অনেক বেশি বলে আপেলকে আমরা মাটিতে পড়তে দেখি।
  • নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র অনুযায়ী চুম্বক লােহাকে আকর্ষণ করে । লােহাও সমান ও বিপরীতমুখী বলে চুম্বককে নিজের দিকে আকর্ষণ করে ।
  • কামান থেকে গােলা ছুড়লে গােলাটি প্রচণ্ড বেগে সামনের দিকে ছুটে যায় । সমান প্রতিক্রিয়া বলের জন্য কামানটিও পিছু হটে ।  বন্দুক থেকে গুলি ছুড়লেও একই ঘটনা ঘটে । 
  • বায়ুশূন্য স্থানে পাখি উড়তে পারে না , কারণ পাখি ডানার সাহায্যে বাতাসে আঘাত করে কিন্তু তার সমান ও বিপরীতমুখী বলপ্রয়ােগ করার মত বায়ু থাকে না । 
  • মহাকাশে রকেট ও জেট প্লেনে উৎপন্ন প্রতিক্রিয়া বল রকেটকে মহাকাশে পৌছে দেয় ।



No comments:

Post a Comment

Don't Leave any spam link.