আইসোটোপ, আইসোবার এবং আইসোটোন |
আইসোটোপ, আইসোবার এবং আইসোটোন [ Isotope,Isober and Isotone ] :
পারমানিক সংখ্যা / পরমাণু ক্রমাঙ্ক [Atomic নম্বর] :
কোন মৌলের নিউক্লিয়াসে যতগুলি প্রোটন থাকে, সেই সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণু ক্রমাঙ্ক বলে।
সাধারণত মৌলের চিহ্নের বাম পাশে নিচের দিকে প্রোটন সংখ্যা অর্থাৎ পারমাণবিক সংখ্যা লিখে মৌলের পরিচয় প্রকাশ করা হয় ।
পারমাণবিক সংখ্যা = নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা = নিউক্লিয়াস বহির্ভূত ইলেকট্রনের সংখ্যা।
ভর সংখ্যা [Mass number] :
কোন পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যতগুলি প্রোটন ও নিউট্রন থাকে তাদের মিলিত সংখ্যাকে ওই পরমাণুর ভর সংখ্যা বলে। অর্থাৎ
ভর সংখ্যা = প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা
মৌলের চিহ্নের ডানপাশে উপরের দিকে মৌলের ভারসংখ্যা লিখে প্রকাশ করা হয়।
উদাহরণ: ₈o¹⁶ = এখানে নিচের 8 হল পারমাণবিক সংখ্যা এবং উপরের 16 হল ভরসংখ্যা।
আইসোটোপ : একই মৌলের পরমাণুর মধ্যে যাদের পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণু ক্রমাঙ্ক সমান কিন্তু ভর সংখ্যা বিভিন্ন অর্থাৎ প্রোটনের সংখ্যা একই কিন্তু নিউট্রনের সংখ্যার ভিন্নতার জন্য পারমাণবিক ভর ভিন্ন হয় তাদের আইসোটোপ বা সমস্থানিক মৌল বলে।
উদাহরণ: ₇N¹⁴ এবং ₇N¹⁵ অর্থাৎ পারমাণবিক সংখ্যা = 7 = প্রোটনের সংখ্যা, নিউট্রনের সংখ্যা যথাক্রমে 7 এবং 8। অর্থাৎ প্রোটনের সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রনের সংখ্যার পার্থক্য থাকে।
আইসোবার : যে সব মৌলের পরমাণু গুলির পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণু ক্রমাঙ্ক বিভিন্ন কিন্তু ভরসংখ্যা একই সেই সব মৌলের পরমাণুগুলিকে আইসোবার বলে।
উদাহরণ: ₁₈Ar⁴⁰ , ₁₉K⁴⁰ এবং ₂₀Ca⁴⁰ । প্রত্যেক ক্ষেত্রে ভর সংখ্যা সমান কিন্তু পারমাণবিক সংখ্যা বিভিন্ন। পারমাণবিক সংখ্যার ভিন্নতার দরুন প্রোটনের সংখ্যা বিভিন্ন।কিন্তু প্রোটন ও নিউট্রনের যোগফলেই হল ভর সংখ্যা এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রে সমান। সুতরাং, নিউট্রনের সংখ্যা বিভিন্ন। Ar এর ক্ষেত্রে (40 - 18) বা 22 টি হল নিউট্রনের সংখ্যা, K এর ক্ষেত্রে নিউট্রনের সংখ্যা 21 এবং Ca এর ক্ষেত্রে নিউট্রনের সংখ্যা 20 ।
আইসোটোন : যে সব মৌলের পরমাণু গুলির নিউট্রনের সংখ্যা সমান কিন্তু তারা বিভিন্ন ভরসংখ্যা বিশিষ্ট হয় তাদের আইসোটোন বলে ।যেমন :
₁₄Si³⁰ প্রোটনের সংখ্যা = 14, নিউট্রনের সংখ্যা 16
₁₅P³¹ প্রোটনের সংখ্যা = 15, নিউট্রনের সংখ্যা 16
₁₆S³² প্রোটনের সংখ্যা = 16, নিউট্রনের সংখ্যা 16
No comments:
Post a Comment
Don't Leave any spam link.