Breaking

Apr 2, 2020

প্রতিবাদী আন্দোলনের আদর্শ : বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের মূল শিক্ষা ও প্রভাব download-pdf ফাইল

প্রতিবাদী আন্দোলনের আদর্শ : বৌদ্ধ ও  জৈনধর্মের মূল শিক্ষা ও প্রভাব

প্রতিবাদী আন্দোলনের আদর্শ : বৌদ্ধ ও  জৈনধর্ম

     বৈদিকযুগের শেষের দিকে সামাজিক বৈষম্য ও জাতিভেদ প্রথা এবং যজ্ঞকেন্দ্রিক ধর্মমতের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে ওঠে তার আর্দশকে ভিত্তি করে ভারতবর্ষে নাস্তিক ও আস্তিক ধারায় প্রায় ৬৩টি ধর্মমতের উদ্ভব হয়, যার মধ্যে বৌদ্ধ ও জৈনধর্ম ছিল বিশেষ উল্লেখযােগ্য।


১) বৌদ্ধধর্মের উদ্ভব : বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক ছিলেন গৌতমবুদ্ধ। আনুমানিক ৫৬৬ খ্রিস্টপূর্বে নেপালের তরাই অঞ্চলের কপিলাবস্তু রাজ্যে গৌতমবুদ্ধের জন্ম হয়। তাঁর পিতা ছিলেন এই রাজ্যের রাজা শুদ্ধোদন ও মাতার নাম মায়াদেবী। জন্মকালে তাঁর নাম রাখা হয় সিদ্ধার্থ । জন্মের সাতদিন পরেই তিনি মাতৃহীন হলে তাঁর বিমাতা গৌতমী তাঁকে লালনপালন করতে থাকেন। এইজন্য পরবর্তীকালে তাঁর নাম হয় গৌতম। ২৯ বছর বয়সে স্ত্রী গােপা ও নবজাত পুত্র রাহুলের মায়া ত্যাগ করে কোনও এক গভীর রাত্রে গৃহত্যাগ করেন। বৌদ্ধশাস্ত্রে এই ঘটনা 'মহাভিনিষ্ক্রমণ’ নামে খ্যাত। ৩৫  বছর বয়সে তিনি বােধি বা দিব্যজ্ঞান লাভ করেন। বােধি লাভের পর তাঁর নাম হয় 'বুদ্ধ বা জ্ঞানী', 'তথাগত' বা যিনি পরম জ্ঞানের সন্ধান পেয়েছেন।  যে গাছের তলায় তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেন তার নাম হয় বৌদ্ধ বৃক্ষ এবং যে স্থানে তিনি বৌদ্ধত্ব অর্জন করেন পরবর্তীকালে তার নাম হয় 'বুদ্ধগয়া'। বৌদ্ধত্ব লাভের পর বারাণসীর নিকটবর্তী সারনাথে তাঁর প্রথম পাঁচ জন শিষ্য বা পাঁচভিক্ষুর কাছে তাঁর ধর্মমত প্রচার করেন, এই ঘটনা ধর্মচক্র প্রবর্তন নামে খ্যাত। এরপর দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে উত্তর এবং পূর্ব ভারতের নানা স্থানের অসংখ্য নরনারীকে তিনি বৌদ্ধধর্মে দিক্ষিত করেন। মগধরাজ বিম্বিসার, কৌশলরাজ প্রসেনজিং প্রমুখ ব্যক্তিত্ত্বরা ছিলেন তাঁর উল্লেখযােগ্য শিষ্য। এরপর ৮০ বছর বয়সে উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে তিনি দেহত্যাগ করেন। বৌদ্ধশাস্ত্রে এই ঘটনা 'মহাপরিনির্বাণ' নামে খ্যাত। ধীরে ধীরে বৌদ্ধ ধর্মমত সারা বিশ্বে বিশেষত এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।


      বৌদ্ধধর্মের মূল শিক্ষা : বৌদ্ধধর্মের মূল লক্ষ্য হল মানুষকে দুঃখ থেকে নিবৃত্তিলাভের উপায়ের সন্ধান দেওয়া এবং সত্য উপলব্ধি। বৌদ্ধধর্মে চারটি মহান সত্যের কথা বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, যা 'আর্যসত্য’ নামে অভিহিত। এই সত্যগুলাে হল : (১) সংসারে দুঃখকষ্ট আছে, (২) এই দুঃখকষ্টের কারণও আছে, (৩) দুঃখকষ্ট নিবারণের উপায় আছে এবং (৪) দুঃখকষ্টের অবসানের জন্য সত্যপথ অনুসরণ করতে হবে। আত্মার মুক্তিকে বুদ্ধদেব 'নির্বাণ' নামে অভিহিত করেন। বৌদ্ধধর্মের প্রধান লক্ষ্য হল নির্বাণ লাভ করা।


    বৌদ্ধধর্মের মতে জন্মই দুঃখের কারণ। পার্থিব ভােগ-তৃষ্ণার প্রতি মানুষের আসক্তি থেকেই দুঃখের জন্ম এবং তৃষ্ণাই মুক্তির পরিবর্তে জন্মান্তর ঘটায়। আসক্তি বিনাশের জন্য বৌদ্ধধর্মে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বা আটটি পথের নির্দেশ বা সন্ধান দেওয়া হয়েছে, এগুলাে হল : (১) সৎ সংকল্প, (২) সৎ চিন্তা, (৩) সৎ বাক্য, (৪) সৎ ব্যবহার, (৫) সৎ জীবনযাপন, (৬) সৎ প্রচেষ্টা, (৭) সৎ দৃষ্টি এবং (৮) সম্যক সমাধি। এই অষ্টমার্গ বা অষ্টপন্থা অনুশীলন করলে মানুষের অন্তরে প্রজ্ঞা’বা পরম জ্ঞানের সঞ্চার হবে এবং এই পরম জ্ঞান থেকেই আসবে ‘নির্বাণ’বা ‘মােক্ষ'। নির্বাণ হল সুখ-দুঃখ ও কামনা-বাসনার উর্ধ্বে এমন এক অবস্থা যেখানে পৌছুলে পাওয়া যায় অপার শান্তি ও অনন্তসুখ। নির্বাণলাভ করলে আর জন্ম হয় না, সুতরাং দুঃখভােগ করতেও হয় না। বৌদ্ধধর্মের মতে, চরম ভােগ বিলাস ও চরম কৃচ্ছসাধনা এই দুটি পন্থাই আস্থার উন্নতিতে বিঘ্ন ঘটায়। এই জন্যেই বৌদ্ধধর্মে এই দুই চরম পন্থার মধ্য পন্থা বা মঝঝিম পন্থা অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। এই ‘মধ্য-পন্থাই' হল নির্বাণলাভের চরম পথ।


           এছাড়া বৌদ্ধধর্মে কয়েকটি নৈতিক উপদেশও দেওয়া হয়েছে, যেমন : 'পঞ্চশীল’ (হিংসা, পরস্বাপহরণ, ব্যভিচার, মদ্যপান ও মিথ্যাভাষণ থেকে বিরত থাকা) সমাধি (মনঃসংযােগ), প্রজ্ঞা (অন্তর্দৃষ্টি) প্রভৃতি।


     বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ : ত্রিপিটক (বিনয় পিটক, সূত্র পিটক ও অভিধর্ম পিটক) হল বৌদ্ধধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। 
    
       বৌদ্ধধর্মের প্রভাব : বৌদ্ধধর্ম ক্রমশ ভারতে ও ভারতের বাইরে মধ্য এশিয়া, সুদূর প্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বহু দেশে বিস্তার লাভ করে। ভারতীয় ধর্ম, সমাজ ও সাংস্কৃতিক জীবনের ওপর বৌদ্ধধর্মের ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, কারণ :
         প্রথমত : বৈদিকধর্মের কঠোরতা, যাগযজ্ঞ, জাতিভেদপ্রথা ও আচারসর্বস্ব ধর্মমতের পরিবর্তে বৌদ্ধধর্ম সকলের জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করে।


       দ্বিতীয়ত: বৌদ্ধধর্মে পুরুষের মতােই নারীদের সমানাধিকার দেওয়া হয়। অনেক সময় নারীরা বৌদ্ধ সংঘ পরিচালনা করতেন। ফলস্বরূপ ভারতীয় নারীরা শিক্ষিত ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন হয়ে ওঠেন।
     
   তৃতীয়ত: বুদ্ধদেব ধনী-দরিদ্র, উচ্চ-নীচ নির্বিশেষে সকলের জন্য ধর্মের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন। রাজা বিম্বিসার, অজাতশত্রু, ধনী বণিক অনাথপিন্ডক, সারিপুত্ত, সমাজের নিম্নবর্ণের মানুষ আনন্দ ও উপালি, দস্যু অঙ্গুলীমাল, পতিতা আম্রপালি সকলকেই বুদ্ধদেব আপন ভেবে কাছে টেনে নেন।
      
     চতুর্থত : বুদ্ধদেব প্রচলিত সংস্কৃত ভাষার জটিলতা ত্যাগ করে কথ্য ভাষা বা পালির ওপর গুরুত্ব আরােপ করেছিলেন, এর ফলে পালি ভাষা অত্যন্ত সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
       
      পঞ্চমত : বৌদ্ধধর্মে বাণিজ্যিক লেনদেন, যুদ্ধে অর্থ ধার দেওয়া এবং সমুদ্রযাত্রাকে অনুমােদন করা হয়েছে। তাছাড়া এই ধর্মে অহিংসার আদর্শ ও যুদ্ধবিগ্রহ বিরােধী প্রচার ব্যবস্থা বাণিজ্যের প্রসারে সহায়ক হয়েছিল।


  পরিশেষে বলা যায় যে, ভগবান বুদ্ধদেব ভারতবর্ষে প্রথম গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শের বিকাশ ঘটাতে চেয়েছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধ সংঘগুলির প্রতিটিই ছিল এক একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান।



     জৈন ধর্মের উদ্ভব : জৈনধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম প্রায় সমসাময়িক। মহাবীরকে জৈনধর্মের প্রবর্তক বলে মনে করা হলেও, জৈনরা মনে করেন যে, তার আগেও তেইশজন তীর্থংকর অর্থাৎ মুক্তি পথপ্রদর্শক জৈনধর্মকে পুষ্ট করেছিলেন। সর্বপ্রথম তীর্থংকর ছিলেন ঋষভদের বা আদিনাথ এবং সর্বশেষ তীর্থংকর হলেন মহাবীর। এই চব্বিশজন তীর্থংকরের মধ্যে বাইশ জনের কোনও ঐতিহাসিক সন্ধান পাওয়া যায় না। ত্রয়ােবিংশ তীর্থংকর পাশ্বনাথ বা পরেশনাথ সম্বন্ধে জৈন ধর্মগ্রন্থে কিছু সংবাদ পাওয়া যায় ।



         পার্শ্বনাথ : পার্শ্বনাথই প্রকৃতপক্ষে জৈনধর্মের সূচনা করেন। তাঁর সম্বন্ধে এটুকু জানা যায় যে, তিনি কাশীর কোনও রাজার সন্তান ছিলেন এবং মহাবীরের জন্মের প্রায় আড়াইশাে বছর আগে তাঁর জন্ম হয়। ত্রিশ বছর বয়সে পার্শ্বনাথ রাজপ্রাসাদের ভােগ-বিলাস পরিত্যাগ করে সন্ন্যাসী হন এবং তিন মাস কঠোর তপস্যার পর পূর্ণজ্ঞান লাভ করেন। তিনি ধর্ম সম্বন্ধে যে উপদেশ প্রচার করেন তা চতুর্যাম নামে খ্যাত।


       মহাবীর : জৈনধর্মের শেষ তীর্থংকর ছিলেন মহাবীর। তিনি পার্শ্বনাথ প্রবর্তিত ধর্মের সংস্কার করেছিলেন মাত্র। তার মুখ্য ভূমিকা ছিল সংস্কারকের। পার্শ্বনাথ প্রচারিত চতুর্যাম আদর্শের সঙ্গে মহাবীর আরও একটি আদর্শ যােগ করেন এবং তা হল শুচিতা বা ব্রহ্মচর্য। ৩০ বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করে দীর্ঘ ১২ বছর কঠোর সাধনার পর তিনি কৈবল্য বা সিদ্ধিলাভ করেন এবং জিন বা জিতেন্দ্রিয় নামে পরিচিত হন।


    আনুমানিক ৫৪০ খ্রিস্টপূর্বে বিহারের মজঃফরপুর জেলায় মহাবীরের জন্ম হয়। ছােটো বেলায় তাঁর নাম ছিল বর্ধমান। কৈবল্য ও পরম জ্ঞানের মাধ্যমে তিনি সুখ-দুঃখ ও পঞ্চ রিপুকে জয় করেছিলেন বলে তাঁকে মহাবীর বলা হয় এবং জিন থেকে তাঁর অনুগামী এবং শিষ্যরা জৈন নামে পরিচিত হন।


   কৈবল্য লাভ করার পর তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতের মগধ, কোশল, অঙ্গ, মিথিলা, নালন্দা, বৈশালী, রাজগৃহ প্রভৃতি স্থানে ধর্মপ্রচার করে বহু নরনারীকে জৈন ধর্মে দীক্ষিত করেন। তৎকালীন রাজারাও তাঁকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা ও সম্মান করতেন। ৪৬৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ৭২ বছর বয়সে রাজগীরের নিকটবর্তী পাবা নামক স্থানে তিনি অনশনে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করেন।


   খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে পাটলিপুত্রে আহ্বান করা জৈনদের এক সভায় মহারীরের উপদেশগুলি বারােটি অঙ্গে বা খণ্ডে সংকলিত করা হয়, যা 'দ্বাদশ অঙ্গ’ নামে খ্যাত। 'দ্বাদশ অঙ্গ' প্রাকৃত ভাষায় লেখা।


    জৈনধর্মের মূল শিক্ষা : পার্শ্বনাথ প্রবর্তিত চতুর্যাম নীতি [যথা ১) অহিংসা, (২) সত্য, (৩) অচৌর্য (চুরি না করা) ও (৪) অপরিগ্রহ (বিষয় সম্পত্তি থেকে মুক্ত থাকা) এবং মহাবীর প্রবর্তিত ব্রহ্মচর্য মােট এই পাঁচটি নীতি বা ‘পঞ্চ মহাব্রত’ হল জৈনধর্মের মূলভিত্তি। জৈনধর্মের মতে, সত্য বিশ্বাস, সত্য জ্ঞান এবং সত্য আচরণ—এই তিনটি গুণ হল মানুষের ত্রিরত্ন। এই তিনটি গুণ বা ত্রিরত্নের সাহায্যে পরম শুদ্ধ আনন্দ বা আত্মার মুক্তি অর্থাৎ সিদ্ধশিলা’ লাভ করা যায়। জৈনধর্মে বেদের অভ্রান্ততা, যাগযজ্ঞের কার্যকারীতা বা ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয় না । তবে এই ধর্ম হিন্দুদের মতাে কর্মফল ও জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী। কৃচ্ছসাধনকেই জৈনরা শাশ্বত সত্যকে জানার একমাত্র উপায় বলে মনে করেন। জৈনধর্মমতে বিশ্বাস করা হয় যে, ‘পমহাব্রত, পালন ও কৃচ্ছসাধনের দ্বারাই কর্ম ও জন্মান্তরের বন্ধন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জৈনধর্মে সামান্যতম কীট হত্যাকেও মহাপাপ বলে গণ্য করা হয়।



       জৈনধর্মের প্রভাব : ভারতের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক জীবনের ওপর জৈনধর্মের প্রভাব ছিল অপরিসীম, কারণ :
  
    প্রথমত, জৈনধর্মই সর্বপ্রথম বর্ণবিভক্ত ভারতীয় সমাজের বুকে সমস্ত মানুষের সমান অধিকারের কথা প্রচার করা হয়।


   দ্বিতীয়ত, সৎ কাজকর্মের মাধ্যমেই সব মানুষই মােক্ষলাভ করতে পারবে—জৈনধর্মের এই শিক্ষা সমাজকে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, মিথ্যাচার প্রভৃতির কলুষ প্রভাব থেকে মুক্তকরতে পেরেছিল।


     তৃতীয়ত, জৈন তীর্থংকররা সংস্কৃত ভাষার পরিবর্তে তখনকার দিনের কথ্য পালি ও প্রাকৃত ভাষায় শিক্ষাদান করতেন, ফলে বহু স্থানীয় ভাষা সমৃদ্ধিলাভ করেছিল। জৈন ধর্মশাস্ত্রগুলি প্রাকৃত ভাষায় রচিত হলেও জৈনধর্মের বিস্তারের মাধ্যমে কেবলমাত্র প্রাকৃত ভাষাই নয়, মাড়ােয়ারি, গুজরাটি, তামিল, তেলেগু ও কানাড়ি ভাষাও সমৃদ্ধ হয়েছিল।


   চতুর্থত: জৈনধর্মের অহিংসার আদর্শ ও যুদ্ধের অপ্রয়ােজনীয়তা সংক্রান্ত ভাবনা চিন্তা প্রচারের ফলে পশুহত্যা বন্ধ হয় এবং  ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটে।


File Details::
File Name: প্রতিবাদী আন্দোলনের আদর্শ : বৌদ্ধ ও
জৈনধর্মের মূল শিক্ষা ও প্রভাব
File Format: PDF
No. of Pages:15
File Size:434 KB





No comments:

Post a Comment

Don't Leave any spam link.